মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে এবং এর বৈশিষ্ট্য

Photo of author

By Nur Islam

মৃৎক্ষার ধাতু বলতে সাধারণত গ্রুপ ২-এর মৌলসমূহকে বোঝানো হয়, যেগুলি পর্যায় সারণির দ্বিতীয় কলামে অবস্থিত এবং এদের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ক্ষার ধাতুর মতোই তবে কিছু পার্থক্য আছে।

মৃৎক্ষার ধাতু: ভূমিকা

মৃৎক্ষার ধাতু হল পর্যায় সারণির গ্রুপ ২-এ অবস্থিত মৌলগুলির একটি শ্রেণী। এদের মধ্যে প্রধানত আছে বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca), স্ট্রোন্শিয়াম (Sr), ব্যারিয়াম (Ba), এবং রেডিয়াম (Ra)। এরা তাদের রাসায়নিক ও ভৌত বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং পৃথিবীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খনিজ আকারে পাওয়া যায়।

মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলা হয়

মৃৎক্ষার ধাতু বলতে গ্রুপ ২-এ অবস্থিত মৌলসমূহকে বোঝানো হয়। এরা ক্ষার ধাতুর মতোই সক্রিয় কিন্তু কিছু ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন এদের ঘনত্ব ও গলনাঙ্ক বেশি।

মৃৎক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্য

মৃৎক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:

  1. দ্বিতীয় ভ্যালেন্স ইলেকট্রন: এদের প্রতিটি পরমাণুর ভ্যালেন্স শেলে দুটি ইলেকট্রন থাকে যা এদের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সক্রিয় করে তোলে।
  2. মধ্যম সক্রিয়তা: ক্ষার ধাতুর তুলনায় এদের সক্রিয়তা কম।
  3. আয়নিক বন্ধন: এরা সাধারণত আয়নিক যৌগ তৈরি করে।
  4. ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য: এদের অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইডগুলি ক্ষারীয় হয়, যা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে বেস উৎপন্ন করে।
  5. উচ্চ গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: ক্ষার ধাতুর তুলনায় মৃৎক্ষার ধাতুর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি।
  6. প্রাকৃতিক অবস্থান: এরা পৃথিবীতে খনিজ আকারে পাওয়া যায় এবং অধিকাংশই সমুদ্রের পানিতে উপস্থিত।

মৃৎক্ষার ধাতু গুলো কি কি

মৃৎক্ষার ধাতুর তালিকায় রয়েছে:

  • বেরিলিয়াম (Be)
  • ম্যাগনেসিয়াম (Mg)
  • ক্যালসিয়াম (Ca)
  • স্ট্রোন্শিয়াম (Sr)
  • ব্যারিয়াম (Ba)
  • রেডিয়াম (Ra)

ম্যাগনেসিয়াম কে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কেন

ম্যাগনেসিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কারণ এটি পর্যায় সারণির গ্রুপ ২-এর একটি মৌল। এর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য মৃৎক্ষার ধাতুর অন্যান্য সদস্যদের মতোই, যেমন দুইটি ভ্যালেন্স ইলেকট্রন থাকার কারণে এটি সহজে আয়নিক বন্ধন গঠন করে।

ক্যালসিয়াম কে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কেন

ক্যালসিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কারণ এটি গ্রুপ ২-এর অংশ। এর দুটি ভ্যালেন্স ইলেকট্রন থাকে যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সহায়ক এবং এটি আয়নিক যৌগ তৈরি করতে সক্ষম।

মৃৎক্ষার ধাতুর সক্রিয়তার ক্রম

মৃৎক্ষার ধাতুর সক্রিয়তার ক্রম নিচের মতো:

  1. ব্যারিয়াম (Ba)
  2. স্ট্রোন্শিয়াম (Sr)
  3. ক্যালসিয়াম (Ca)
  4. ম্যাগনেসিয়াম (Mg)
  5. বেরিলিয়াম (Be)

এ ক্রমটি মৌলগুলির পরমাণু ব্যাসার্ধ এবং ইলেকট্রন বর্জনের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।

ca কে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কেন

Ca বা ক্যালসিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কারণ এটি পর্যায় সারণির গ্রুপ ২-এর একটি মৌল। এটির দুটি ভ্যালেন্স ইলেকট্রন আছে এবং এটি সহজে আয়নিক যৌগ তৈরি করতে পারে, যা মৃৎক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্য।

mg কে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কেন

Mg বা ম্যাগনেসিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কারণ এটি গ্রুপ ২-এর একটি মৌল। এর ভ্যালেন্স শেলে দুটি ইলেকট্রন থাকে, যা সহজে ছাড়ানো যায়, এবং এটি আয়নিক যৌগ তৈরি করে।

কোনটি মৃৎক্ষার ধাতু | মৃৎক্ষার ধাতু কোনটি

মৃৎক্ষার ধাতুর মধ্যে বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca), স্ট্রোন্শিয়াম (Sr), ব্যারিয়াম (Ba), এবং রেডিয়াম (Ra) অন্তর্ভুক্ত।

be কে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কেন

Be বা বেরিলিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কারণ এটি গ্রুপ ২-এর সদস্য। এটির রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য মৃৎক্ষার ধাতুর অনুরূপ, যেমন দুটি ভ্যালেন্স ইলেকট্রন থাকা এবং আয়নিক যৌগ তৈরি করা।

মৃৎক্ষার ধাতু মনে রাখার কৌশল

মৃৎক্ষার ধাতু মনে রাখার সহজ কৌশল হল গ্রুপ ২-এর মৌলগুলির নামগুলি ধারাবাহিকভাবে মুখস্থ করা। এছাড়াও, এদের বৈশিষ্ট্যগুলি যেমন উচ্চ গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক এবং আয়নিক যৌগ তৈরি করার ক্ষমতা মনে রাখলে সহজ হয়।

ক্ষার ধাতু ও মৃৎক্ষার ধাতুর মধ্যে পার্থক্য

ক্ষার ধাতু ও মৃৎক্ষার ধাতুর মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য হল:

  • অবস্থান: ক্ষার ধাতু গ্রুপ ১-এ অবস্থিত, মৃৎক্ষার ধাতু গ্রুপ ২-এ।
  • সক্রিয়তা: ক্ষার ধাতু মৃৎক্ষার ধাতুর চেয়ে বেশি সক্রিয়।
  • গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: মৃৎক্ষার ধাতুর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ক্ষার ধাতুর তুলনায় বেশি।
  • জারণ সংখ্যা: ক্ষার ধাতুর জারণ সংখ্যা +১, মৃৎক্ষার ধাতুর +২।

মৃৎক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্য কি কি

মৃৎক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে প্রধান বৈশিষ্ট্য হল:

  • দুটি ভ্যালেন্স ইলেকট্রন
  • আয়নিক বন্ধন তৈরি করা
  • উচ্চ গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক
  • ক্ষারীয় অক্সাইড তৈরি করা
  • মধ্যম সক্রিয়তা

Leave a Comment