Auto Electricity & Electronic (67171) Exam Super Suggestion (part 2)

Photo of author

By Nur Islam

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা জানো যে পূর্ববর্তী পোস্টে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার টেকনোলজির সপ্তম পর্বের “অটো ইলেকট্রিসিটি এন্ড ইলেকট্রনিক্স” পরীক্ষার সাজেশন এর প্রথম অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। এই পোস্টে “অটো ইলেকট্রিসিটি এন্ড ইলেকট্রনিক্স” সাজেশন এর দ্বিতীয় অংশ প্রকাশ করছি।
তোমরা অবশ্যই এই প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়বে। দেখবে এখান থেকে বেশিরভাগ প্রশ্নই তো আমরা কমন পাবে, যদি প্রথম পর্ব মিস করে থাকো; তাহলে এখান থেকে তোমরা প্রথম পর্ব দেখে নিতে পারো।


Table of Contents

রিলে কিভাবে কাজ করে?

বিদ্যুৎ চালিত সুইচকে সাধারণত রিলে বলা হয়। এটি একটি সিঙ্গেল থ্রো প্রকৃতির সাধারণ সুইচ হতে পারে অথবা কতকগুলো সার্কিট নিয়ন্ত্রণের জন্য ডবল থ্রো প্রকৃতির জটিল সুইচও হতে পারে। একটি ইলেকট্রোমেকানিক্যাল রিলে দেখানো হয়েছে।। এটি একটি ইলেকট্রোম্যাগনেট নিয়ে গঠিত যা কন্টাক্ট পয়েন্টকে খোলা ও বন্ধ করার কাজে ব্যবহার করা যায়। এটি একটি নরমালি ওপেন রিলে (normally open relay) কারণ স্বাভাবিক অবস্থায় এ রিলের কন্টাক্ট পয়েন্ট খোলা থাকে এবং ইলেকট্রোম্যাগনেট শক্তি পেলে কন্টাক্ট পয়েন্ট বন্ধ হয় ।রিলের যে অংশ কন্টাক্ট পয়েন্টকে বন্ধ করার জন্য ইলেকট্রোম্যাগনেট এর সাথে যুক্ত থাকে, তাকে আর্মেচার বলা হয় । বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার আর্মেচার ব্যবহৃত হয়, কিন্তু প্রতিক্ষেত্রেই আর্মেচার হলো কোর অথবা বার যা চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা চালিত। রিলের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোম্যাগনেট দ্বারা আর্মেচার আকৃষ্ট হয় এবং আর্মেচার চালনায় কন্টাক্ট পয়েন্ট হয় বন্ধ হয় অথবা খুলে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইলেকট্রোম্যাগনেট কতকগুলো কন্টাক্ট পয়েন্টকে পর্যায়ক্রমে খোলে ও বন্ধ হয় ।  হেভি ডিউটি (heavy duty) রিলে সলিনয়েড দ্বারা চালিত। এরূপ রিলের চলমান কোর একটি কন্টাক্ট বার এর সাথে যুক্ত থাকে যা বৈদ্যুতিক সার্কিটকে খোলে এবং বন্ধ করে । অধিক এম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহের সার্কিটকে অফ-অন করতে এরূপ রিলে ব্যবহৃত হয়।

ডি-জেট্রোনিক ব্যবস্থাপনা ?

ডি-জেট্রোনিক গ্যাসোলিন ফুয়েল ইনজেকশন পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। এ ব্যবস্থাপনার প্রধান নিয়ন্ত্রক ইনটেক মেনিফোল্ড এর চাপ । জার্মান শব্দ Druck-এর অর্থ চাপ। এ প্রকার ইনজেকশন ব্যবস্থা মেনিফোল্ড এর চাপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে একে চাপনিয়ন্ত্রিত বা D-Jectronic ব্যবস্থাপনা বলা হয়। সম্পূর্ণ সিস্টেমটি ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট (ECU) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ECU-তে শতশত কম্পোনেন্ট থাকে যেগুলি বিভিন্ন সেন্সর থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং প্রাপ্ত ডাটা তুলনা করে নিজস্ব সিগন্যাল তৈরি করে এবং সলিনয়েড অপারেটেড ইনজেক্টরে জ্বালানি ইনজেকশন নিয়ন্ত্রণ করে। সলিনয়েডে সিগন্যাল দেওয়ার জন্য ECU যে-সকল সেন্সর থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে সেগুলি হলো: *এয়ার ফ্লো সেন্সর *টেম্পারেচার সেন্সর থার্মোটাইম সুইচ *থ্রটল ভালভ সুইচ এবং *রিলে সেট।শুধুমাত্র ইনজেক্টরের স্প্রে সময় পরিবর্তন করে ইঞ্জিনের বিভিন্ন অপারেটিং কন্ডিশন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে কোল্ড স্টার্টিং এর সময় কোল্ড স্টার্ট ভালভ এর মাধ্যমে অতিরিক্ত জ্বালানি সরবরাহ করা হয়। স্টার্টার মোটর এর সুইচ এর সাথে কোল্ড স্টার্ট ভালভ এর সংযোগ থাকে। ফলে ইঞ্জিন ক্রাঙ্ক করলে কোল্ড স্টার্টিং ভালভ এর মাধ্যমে অতিরিক্ত জ্বালানি সরবরাহ করে এবং ইঞ্জিন চালু হলে তা থার্মোটাইম সুইচ এর কন্টাক্ট পয়েন্ট বন্ধের উপর নির্ভর করে কাজ করে। ইনজেক্টর এবং স্টার্টিং ভালভ এর প্রত্যেকটিই ফুয়েল প্রেসার রেগুলেটর দ্বারা জ্বালানির চাপ 2kg/cm2 নিয়ন্ত্রিত হয়। এ চাপ সমন্বয়যোগ্য। এ থেকে বুঝা যায় যে জ্বালানি সরবরাহের পরিমাপ শুধুমাত্র ইনজেক্টরে জ্বালানি স্প্রে এর সময়ের (duration) উপর নির্ভরশীল। ডি- জেট্রোনিক সিস্টেম থ্রটল ভাল্ভ সুইচ খুব জটিল যা ইঞ্জিনের আইডেল স্পিড থেকে শুরু করে যে-কোনো স্পিড এবং লোডে কাজ করে। ডিস্ট্রিবিউটরের সেন্ট্রিফিউগ্যাল এডভান্স মেকানিজম এর নিচে ট্রিগার কন্টাক্ট দ্বারা ইঞ্জিনের বিভিন্ন স্পিডে প্রয়োজনীয় জ্বালানির পরিমাণ নির্ধারিত হয় ।

কার্বুরেটর ইঞ্জিন ও ই.এফ.আই ইঞ্জিনের মধ্যে পার্থক্য

(কার্বুরেটর ইঞ্জিন:) ১। মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল AC পাম্প থাকে। ২। এই ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে । ৩। এয়ার ফুয়েল রেশিও সমসত্ব হয় না । ৪। ইঞ্জিনে গতি জড়তার উপর ভিত্তি করে ফুয়েল সরবরাহ হয়। ৫। থ্রোটল ভাল্ভ এর অবস্থানের উপর ভেনচুরি একশন হয়ে থাকে । ৬। কার্বুরেটর কাজ করার জন্য কোনো সেন্সর ব্যবহৃত হয় না। ৭। অতিরিক্ত জ্বালানি নষ্ট হয় । ৮। পোড়া গ্যাসে 3% CO এবং 300 ppm Hc উৎপন্ন হয়। ৯। কার্বুরেটরে এয়ার ফুয়েল মিক্সার তৈরি করা হয়।

(ই.এফ.আই ইঞ্জিন:)  ১। শুধুমাত্র ইলেকট্রিক্যাল AC পাম্প থাকে । ২। ECU এবং ইনজেক্টর থাকে । ৩। এয়ার ফুয়েল রেশিও সমসত্ব থাকে। ৪। ফুয়েল ECU দ্বারা কন্ট্রোল হয়ে থাকে ৷ ৫।ইনজেক্টর খোলার সময় পরিমাপ করে থাকে ECU.  ৬। বিভিন্ন প্রকার সেন্সরের সিগন্যাল এর মাধ্যমে ECU কাজ করে। ৭। জ্বালানি নষ্ট হয় না ৷ ৮। পোড়া গ্যাস 1% CO এবং 100 ppm Hc উৎপন্ন হয়। ৯। ইনটেক মেনিফোল্ডের ঠিক ইনটেক ভালভ এর গোড়ায় ফুয়েল মিক্সার করা হয় ।

কমন রেইল ইনজেকশনের প্রচলিত পদ্ধতির সুবিধা উল্লেখ কর?

(কমন রেইল সিস্টেমের সুবিধাসমূহ) ১। এতে একটি ফুয়েল পাম্প ব্যবহৃত হয়। ২।এ পদ্ধতিতে ফুয়েল খরচ কম। ৩। এটি অতি সহজ পদ্ধতি।  8| সমভাবে প্রতি সিলিন্ডারে ফুয়েল সরবরাহ করা যায় । ৫ । এটি ইলেকট্রনিক ফুয়েল সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়। 

(কমন রেইল সিস্টেমের অসুবিধাসমূহ:) ১।একটিমাত্র পাম্প বিধায় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 2। পাম্প নষ্ট হলে সম্পূর্ণ ইঞ্জিন অকেজো হয়ে পড়ে।  ৩।এতে ভালভ লিফট কম হয়। ৪। এতে টাইমিং অসুবিধা বেশি।

অটোমোবাইলে সেন্সর ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী?

ইলেকট্রনিক ফুয়েল ইনজেকশন পদ্ধতির মূল কার্যকারক ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল মডিউল (Electronic Control Module) বা ECM। ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশ থেকে বিভিন্ন সেন্সর ট্রান্সডিউসারের মাধ্যমে প্রেরিত তথ্য ECM-এ তুলনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক ফুয়েল ইনজেকশন করে । ইঞ্জিনের গতি, লোড, কুল্যান্ট-এর তাপমাত্রা, ফ্র্যাংক এঙ্গেল, ইঞ্জিনের নকিং, পোড়াগ্যাসের অবস্থা, ইনটেক মেনিফোল্ডে বায়ু প্রবাহের পরিমাণ ইত্যাদি সেন্সিং ও তুলনা করে সিলিন্ডারে সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ ফুয়েল স্প্রে করে। নকিং এবং এগজস্ট গ্যাসের অবস্থা বিশ্লেষণপূর্বক স্পার্ক এডভান্স অথবা রিটার্ড করে। এক্ষেত্রে কম্পিউটারের CPU-এর কাজ হলো বিভিন্ন তথ্যকে তুলনা করা, সঠিক সিলিন্ডারে সঠিক সময়ে ফুয়েল স্প্রে করা এবং বৈদ্যুতিক স্পার্ক ঘটানো ।

EFI পদ্ধতির সুবিধাগুলো উল্লেখ: ১। কুয়েল খরচ কম হয়। ২।ইঞ্জিনের সকল লোড ও সকল স্পিডে সুষম মিক্সার তৈরি হয়। ৩। ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা (Performance) বৃদ্ধি পায় । ৪। এগজস্ট গ্যাস দূষণ কম হয়। ৫। উঁচু থেকে নিচের দিকে গাড়ির নামার সময় কন্ট্রোল ইউনিট ফুয়েল কাট অফ করে। এতে ফুয়েল খরচ কম হয় এবং বায়ু দূষণও কম হয় । 6| কোল্ড স্টার্ট, ওয়ার্ম আপ এবং অ্যাক্সিলারেশন দ্রুত হয়। ৭। তাৎক্ষণিকভাবে থ্রটল ভালভ কাজ করে।

মোটরযানে চার্জিং সিস্টেমের সার্কিট ডায়াগ্রামসহ কার্যক্রম

মোটরযানে ব্যাটারি চার্জিং সিস্টেমে সাধারণত ডাবল কন্টাক্ট রেগুলেটর তথা ফিল্ড রিলে ও ভোল্টেজ রেগুলেটর ইউনিটের সমন্বয়ে চার্জিং-এর মাত্রা (Rate) নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যার উভয় ইউনিটে F, 2, 3, 4 চারটি টার্মিনাল থাকে । ইগনিশন সুইচ “অফ” অবস্থায় ফিল্ড রিলে খোলা থাকে এবং ভোল্টেজ রেগুলেটর কাজ করে না। ফলে অল্টারনেটর ডায়োডসমূহের মাধ্যমে ব্যাটারিকে পূর্ণ চার্জ রাখে । ইগনিশন সুইচ অন করলে এবং ইঞ্জিন স্টার্টিং-এর আগে ড্যাশবোর্ডের নির্দেশক বাতি জ্বলতে থাকে। অর্থাৎ এ সময় ব্যাটারি চার্জ হয় না। এ অবস্থায় ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ প্যারালালে সংযুক্ত রোধক (Resistor) এবং নির্দেশক বাতির মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে 4 নং টার্মিনাল দিয়ে ভোল্টেজ রেগুলেটর এবং ফিল্ড রিলেতে যায় এবং ভোল্টেজ রেগুলেটর থেকে F টার্মিনাল দিয়ে অল্টারনেটরের রোটর (Rotor) হয়ে গ্রাউন্ড হয়। অপরদিকে, ফিল্ড রিলে থেকে 3 নং টার্মিনাল দিয়ে ইগনিশন সুইচের ব্যাটারি টার্মিনালের দিকে যায় । সেখান থেকে বিদ্যুৎ অল্টারনেটরের ডায়োডসমূহের মাধ্যমে ফিল্ড কয়েলের (Stator) মধ্যে প্রবাহিত হয়ে 2 নং টার্মিনাল দিয়ে গ্রাউন্ড হয়। ব্যাটারির বিদ্যুৎ অল্টারনেটরের ফিল্ড কয়েলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ফিল্ড কয়েলে (Stator) শক্তিশালী চুম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয় । এমতাবস্থায় ইঞ্জিন অফ থাকে ।

অল্টারনেটর এবং ডিসি জেনারেটরের মাঝে পার্থক্য

অল্টারনেটর এবং ডিসি জেনারেটরের মাঝে পার্থক্য দেওয়া হলো ঃ

(অল্টারনেটর): ১। অল্টারনেটরকে এসি জেনারেটর বলা হয়, এর সরবরাহ ক্ষমতা অধিক। ২। ইঞ্জিন চালু হলেই এর স্ট্যাটরের মধ্যে রোটর ঘুরে স্ট্যাটরে এসি উৎপন্ন করে। তাই এতে রেক্টিফায়ার প্রয়োজন হয়। ৩। অল্টারনেটরের স্ট্যাটর-এর চেয়ে রোটর হালকা তাই ইঞ্জিন চালু হলেই আইডেল স্পিডও বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় এবং ব্যাটারি চার্জ শুরু করে। ৪। অল্টারনেটর আকারে ছোট, ওজনে হালকা, রক্ষণাবেক্ষণ কম করতে হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী। 

(ডিসি জেনারেটর): ১। ডিসি জেনারেটরকে শান্ট জেনারেটর বলে। এর সরবরাহ ক্ষমতা কম ২। ইঞ্জিন চালু অবস্থায় স্থির কয়েলের ভিতর আর্মেচার ঘুরে ডিসি উৎপন্ন হয়। তাই কোন রেক্টিফায়ারের প্রয়োজন হয় না । ৩। ডিসি জেনারেটরের স্ট্যাটর অপেক্ষা রোটর ভারী, তাই আইডেল স্পিডে ব্যাটারি চার্জ করতে পারে না । ৪। ডিসি জেনারেটর আকারে বড় ওজনে ভারী, রক্ষণাবেক্ষণ বেশি করতে হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী নয় ৷

ক্লাচ ড্রাইভ মেকানিজমের কার্যক্রম

ক্লাচ ড্রাইভ মেকানিজম পদ্ধতিতে ইঞ্জিন চালু করতে ড্রাইভ পিনিয়ানের সাথে ক্লাচ হাউজ থাকে। এ ক্লাচ হাউজের ড্রাইভ পিনিয়াম ফ্লাইহুয়িল (Flywheel) এর দাঁত বা রিং গিয়ারের সাথে শ্যাফটকে লক করে ইঞ্জিন ঘুরতে সাহায্য করে। ড্রাইভ পিনিয়নকে সরিয়ে ফ্লাইহুয়িলের রিং নিকট লিভারকে পরিচালনার জন্য একটি সলিনয়েড সুইচ ব্যবহার করা হয়, যা একত্রে (Motor) মোটর, এর সাথে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিকভাবে সংযুক্ত থাকে। সলিনয়েড সুইচ-এ (০২) দুইটি ওয়ান্ডিং (Winding) প্লাঞ্জারের উপরে থাকে। প্লাঞ্জারের এক মাথায় শিফট লিভার ও অপর মাথায় একটি ডিস্ক থাকে। ডিস্কের সামনে একজোড়া কন্টাক পয়েন্ট (Contact-point) থাকে । এ ছাড়াও সলিনয়েড (০২) দুইটি (Coil) কয়েল থাকে। একটি হোল্ড-ইন (Hold-in) ও অপরটি পুল-ইন (Pull-in) সার্টার সুইচ অন (ON) করার সাথে সাথে পুল-ইন (Pull-in) এ সংযোগ পায়। এতে করে কন্টাক্ট পয়েন্ট (Contact-point)-এ magnitic field এর সৃষ্টি হয়। এতে করে Armature কন্টাক্ট ডিস্ককে আকর্ষন করে, সলিনয়েড সুইচ ব্যাটারি টার্মিনাল ও Motor টার্মিনালকে শর্ট (Short) করে দেয়। অন্যদিকে Armature-এর অপর প্রান্তে সংযুক্ত শিফট ড্রাইভ পিনিয়নকে সরিয়ে ইঞ্জিনের Flywheel এর দাঁতের বা গিয়ারের সাথে মেশ (Mesh) করে দেয়। ঠিক এই একই সময়ে ব্যাটারি থেকে প্রাপ্ত কারেন্ট কন্টাক্ট ডিস্ক হয়ে মোটর-এ যায় এবং মোটর ঘুরতে থাকে। এর ফলে ইঞ্জিন ক্র্যাংকিং হতে থাকে। মোটরে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার পর Pull-in coil এর কাজ মূলত শেষ হয়। এরপর ইঞ্জিন চালু হবার পর ইঞ্জিনের Flywheel-এর গতি বৃদ্ধি পাবার পর ড্রাইভ পিনিয়ন সরে আসে এবং কন্টাক্ট ডিস্ক সরে যায় ও মোটর বন্ধ হয়। এভাবে পুনরায় ইঞ্জিনকে অফ (Off) করে অন (On) করতে একইভাবে কাজ করে।

ক্যাডমিয়াম টেস্ট পদ্ধতি

ক্যাডমিয়াম টিপ টেস্টার এর সাহায্যে ব্যাটারির চার্জিত অবস্থার পরিমাণ জানা যায়। এর কোনো পোলারিটি (polarity) নেই। ডায়ালের মধ্যস্থল জিরো “O” থাকে এবং জিরো হতে নিদের্শক কাঁটা (Indicator) ডানে বা বামে ঘুরে ব্যাটারির বিভিন্ন অবস্থা যেমন-ডেড, ডিসচার্জ বা চার্জড্ নির্দেশ করে থাকে। 0V – 0.4 ভোল্ট = ডেড, 0.4 – 1.6 ভোল্ট = ডিসচার্জ এবং 1.6 – তার ঊর্ধ্বে ভোল্ট = চার্জড| ক্যাডমিয়াম টেস্ট পদ্ধতি: ক্যাডমিয়াম টিপ টেস্টার দ্বারা কোন ব্যাটারির অবস্থা জানার ক্ষেত্রে প্রথমে সব সেলের ভেন্ট প্লাগ খুলতে হবে এবং ইলেকট্রোলাইট লেভেল চেক করে প্রয়োজনে সঠিক লেভেল আনার পর এক মিনিট যাবৎ হেডলাইট সুইচ অন করে রাখতে হবে এবং ব্যাটারির সার্ফেস চার্জ (Surface charge) শেষ হয়ে গেলে হেডলাইট সুইচ অফ করে দিতে হবে। অতঃপর ব্যাটারির যে-কোনো পোল পোস্টের সন্নিকটে সেলের ভেন্ট হোলে টেস্টারের একটি টেস্ট প্রোব এবং পরবর্তী সেলের ভেন্ট হোলে অন্য প্রোবটি চিত্রানুযায়ী ইলেকট্রোলাইটে প্রবেশ/ডুবালে মিটারের কাঁটা বা নির্দেশক ঘুরে ঐ সেলের অবস্থা নির্দেশ করবে। আবার ১ম প্রোবটি ৩য় সেলে এবং ২য় প্রোবটি ৪র্থ সেলে প্রবেশ করিয়ে ঐ সেলের অবস্থা জানতে হবে। এভাবে সব সেলে পর্যায়ক্রমে প্রোব প্রবেশ করিয়ে প্রতি সেলের অবস্থা নির্ণয় করা হয়। উল্লেখ্য মোট ছয় সেলের জন্য ৫টি রিডিং পাওয়া যাবে।

CDI সিস্টেমে ব্যবহৃত উপাদানসমূহের কার্যপদ্ধতি

CDI সিস্টেমে ব্যবহৃত উপাদানসমূহের কার্যপদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো— (ক) ইনভার্টার (Inverter) : এসি সার্কিটে যেমন স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার লো ভোল্টেজ এসিকে হাই ভোল্টেজ এসিতে রূপান্তর করে। তেমনই ডিসি সার্কিটে লো ভোল্টেজ ডিসিকে হাই ভোল্টেজ পালসেটিং ডিসি বা এসি এর অনুরূপ ভোল্টেজ তৈরি করে। CDI পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বেটারির 6 ভোল্ট বা 12 ভোল্ট ডিসিকে 400 Volts. এসি তে রূপান্তর করে ক্যাপাসিটরের ব্যবহার উপযোগী করে দেয়। (খ) থাইরিস্টর (Thyristor) : থাইরিস্টর একটি তিন টার্মিনাল বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা সুইচিং বা অ্যাম্প্লিফিকেশন কাজ করে। এক্ষেত্রে থাইরিস্টর হিসেবে সিলিকন কন্ট্রোল্ড রেকটিফায়ার (SCR) ব্যবহৃত হয়। এটি ইগনিশন কয়েলে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এর মাধ্যমে ফ্লাক্স উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে । (গ) রেকটিফায়ার (Rectifier) : ইনভার্টার থেকে উৎপাদিত 400 Volts AC কে 400 Volts DC-তে রূপান্তর করে । (ঘ) ক্যাপাসিটর (Capacitor) : CDI সিস্টেমের মূল উপাদান হলো ক্যাপাসিটর । এই ক্যাপাসিটর 400 Volts DC-তে চার্জিত হয় এবং 40,000 Volts পর্যন্ত উন্নীত করে। অতঃপর সঠিক সিলিন্ডারে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে জ্বালানির দহন ঘটায় । (ঙ) হল ইফেক্ট ক্র্যাংকশ্যাফট সেন্সর (Hall effect crankshaft sensor) ঃ হল ইফেক্ট ক্র্যাংকশ্যাফট সেন্সর ক্র্যাংকশ্যাফট-এর গতি ECM-কে জানায়। এতে একটি টাইমিং ডিস্ক বা পালস সেন্সর থাকে। যখন পালস সেন্সর বরাবর ফ্লাইহুইলের না আসে তখন এতে ভোল্টেজ পালস সৃষ্টি হয়। এভাবে ১নং সিলিন্ডারে যখন পিস্টন TDC তে আসে তখন ১নং সিলিন্ডারে স্পার্ক ঘটানোর জন্য ECM-কে সংকেত প্রদান করে। এতে ECM-১নং সিলিন্ডারের স্পার্ক প্লাগে স্পার্ক ঘটায় । (চ) ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল মডিউল (Electronic Control Module or ECM) : বিভিন্ন সেন্সর থেকে প্রাপ্ত তথ্য তুলনা করে  ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল মডিউল সঠিক সময়ে সঠিক স্পার্ক প্লাগে স্পার্ক ঘটায় ।(ছ) ম্যানিফোল্ড অ্যাবসলিউট প্রেসার সেন্সর (Manifold Absolute Pressure Sensor) : ম্যানিফোল্ড অ্যাবসলিউট প্রেসার সেন্সর বা MAP সেন্সর এগজস্ট মেনিফোল্ড এর চাপ ECM-কে জানায়। এ থেকে ইঞ্জিনের লোডের অবস্থা জানা যায়। ইঞ্জিনের লোডের ওপর ভিত্তি করে ইগনিশন সিস্টেমে স্পার্ক এ্যাডভান্স নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়াও সিলিন্ডারে জ্বালানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে । (জ) বৈদ্যুতিক উৎস (Electric Source) : CDI সিস্টেমে বৈদ্যুতিক উৎস হিসেবে ব্যাটারি অথবা ম্যাগনেটো জেনারেটর বহৃত হয় ।

DLI ডিএলআই ইগনিশন পদ্ধতির কার্যপদ্ধতি

DLI এর পূর্ণ নাম Distributor less Ignition system বা ডিস্ট্রিবিউটরবিহীন ইগনিশন পদ্ধতি। এটি একপ্রকার ইলেকট্রনিক ইগনিশন পদ্ধতি যাতে কোন ইগনিশন ডিস্ট্রিবিউটর থাকে না। ক্র্যাংকশ্যাফট পজিশন সেন্সর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইগনিশন মডিউল সিলিন্ডারে পিস্টন TDC তে উঠলে ঐ সিলিন্ডারে স্পার্ক ঘটায় । নিম্নলিখিত উপাদানগুলোর সমন্বয়ে DLI সিস্টেম গঠিত। যথা—

  • (ক) ক্যামশ্যাফট সেন্সর (Camshaft sensor)।
  • (খ) ক্র্যাংকশ্যাফট সেন্সর (Crankshaft sensor)।
  • (গ) ইগনিশন মডিউল (Ignition module)।
  • (ঘ) কন্ট্রোল লজিক (Control logic)।
  • (ঙ) ইগনিশন কয়েল প্যাক (Ignition coil pack)।
  • (চ) ট্রানজিস্টর (Transistor)।
  • (ছ) স্পার্ক প্লাগ (Spark plug)।

তিনটি ইগনিশন কয়েল বিশিষ্ট একটি V-6 ইঞ্জিনের ডিস্ট্রিবিউটর বিহীন ইগনিশন পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। এতে ইগনিশন মডিউল, ইগনিশন কয়েল প্যাক, ক্র্যাংকশ্যাফট সেন্সর, ক্যামশ্যাফট সেন্সর ইত্যাদি রয়েছে । প্রতিটি ইগনিশন কয়েল একই সঙ্গে দুটি করে স্পার্ক প্লাগে স্পার্ক করে। প্রতিটি সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং এর এক প্রান্ত একটি স্পার্ক প্লাগে সংযোগ আছে। ইগনিশন মডিউল ফায়ারিং সিকুয়েন্স (sequence) অনুযায়ী ফায়ারিং কয়েল নির্ধারণ করে। অতঃপর সময়মত ECM প্রাইমারি সার্কিট খোলে। সেকেন্ডারি কয়েলের হাই ভোল্টেজ সার্জ স্পার্ক প্লাগ গ্যাপে স্পার্ক ঘটায়। এক্ষেত্রে যে দুটি সিলিন্ডারে স্পার্ক ঘটে, তার একটিতে কম্প্রেশন স্ট্রোকের শেষ ভাগে পিস্টন T.D.C- তে ওঠে। এসময় স্পার্ক হওয়ার ফলে সিলিন্ডারে পাওয়ার উৎপন্ন হয়। একই সময়ে অন্য সিলিন্ডারে এক্সস্ট স্ট্রোকে পিস্টন T.D.C তে ওঠার সময় স্পার্ক হয়। ফলে এ স্পার্ক কোনো কাজে লাগে না। তাই একে Waste surge বলা হয়। ECM শুধু পিস্টনের T.D.C তে ওঠার অবস্থানকে Sensor করে। তাই প্রতি জোড়া স্পার্ক এর একটি Waste spark হয়।

Leave a Comment