বাংলাদেশের পাখি রচনা ক্লাস 5
বিভিন্ন সময়ে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা কিংবা অন্যান্য পরীক্ষায় "বাংলাদেশের পাখি রচনা" লিখতে বলা হয়। নিচে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী "বাংলাদেশের পাখি রচনা ক্লাস 5 " তুলে ধরা হলো।নিম্ন বর্ণিত রচনাটি ভালোভাবে আত্মস্থ করলে আশা করা যায়, যে কোন পরীক্ষায় "বাংলাদেশের পাখি রচনা ক্লাস 5 " এ রচনাটি আসলে শিক্ষার্থীরা তা লিখতে পারবে।
উপস্থাপনা
পাখি আমাদের পরিবেশের সৌন্দর্য বর্ধক এবং পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিশেষ করে, শস্য ক্ষেতের এবং ফলমূলের পোকামাকড় খেয়ে প্রাকৃতিক কীটনাশকের কাজ করে থাকে পাখি। এছাড়াও পাখি আরো বিভিন্নভাবে আমাদের পরিবেশের উপকার করে থাকে।
বাংলাদেশে পাখির পরিচিতি
বাংলাদেশ একটি পাখি-সমৃদ্ধ দেশ। দেশের মাঠ, বন, নদী, এবং পাহাড়ে প্রায় ৭০০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। এসব পাখিরা আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ছোট থেকে বড়, গায়ের রং, এবং গানবাজনা—প্রতিটি পাখি আলাদা বৈশিষ্ট্যে ভরা। এছাড়াও শীতকালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের দেশে অতিথি পাখি চলে আসে। এই পাখিগুলো আমাদের পরিবেশের অংশ।
বাংলাদেশের সাধারণ পাখি
বাংলাদেশে অনেক ধরনের পাখি দেখা যায়। এর মধ্যে কিছু খুব সাধারণ এবং সারা দেশেই দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে পাখির আনাগোনা বেশি থাকে। সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় এমন কিছু পাখির সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে তুলে ধরা হবে।
- ডাহুক: ডাহুক আমাদের গ্রামবাংলার এক পরিচিত পাখি। এদের ডাক সুন্দর এবং এরা জলাশয়ের ধারে বাস করে।
- ময়না: ময়না একটি কথা বলা পাখি। এরা বনে বাস করে এবং মানুষের অনুকরণে শব্দ করতে পারে।
- শালিক: শালিক পাখি সহজেই চোখে পড়ে। গ্রাম এবং শহরে এদের দেখা যায়।
- দোয়েল: দোয়েল বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। এর গায়ের রং কালো-সাদা এবং এরা মিষ্টি সুরে গান গায়।
পরিযায়ী পাখি
শীতকালে, বাংলাদেশে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি আসে। এরা মূলত সাইবেরিয়া এবং উত্তর মেরু অঞ্চল থেকে আসে। এই পাখিগুলি শীতের সময় বাংলাদেশে উষ্ণ পরিবেশে থাকে। বিভিন্ন ধরনের পরিযায়ী পাখি শীতকালে বাংলাদেশে চলে আসে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো :
- গাংচিল: এরা জলাশয় এবং নদীর ধারে দেখা যায়।
- বক: এরা মিঠা পানির ধারে বাস করে এবং মাছ খেতে ভালোবাসে।
বাংলাদেশের পাখিদের গুরুত্ব
বাংলাদেশের পাখিদের পরিবেশ ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই আমাদের উচিত হলো পাখি বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং আরো নানাবিধ পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে পাখিদের গুরুত্ব অনেক অস্বীকার্য।
- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা: পাখি কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলের সুরক্ষা করে এবং পরিবেশ পরিষ্কার রাখে।
- অর্থনৈতিক ভূমিকা: পরিযায়ী পাখি পর্যটকদের আকর্ষণ করে যা দেশের পর্যটন খাতে অবদান রাখে।
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি: পাখিদের মধুর কণ্ঠ এবং রঙিন পালক আমাদের পরিবেশকে আরও সুন্দর করে তোলে।
বাংলাদেশের পাখিদের হুমকি
অতীতে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে পাখির বসবাস থাকলে দিনে দিনে তা ক্রমশাই কমে যাচ্ছে। কেননা বিভিন্ন কারণে পাখি তাদের বংশবিস্তার করতে পারছে না এবং সঠিকভাবে বসবাস করতে পারছে না।বর্তমানে, বাংলাদেশের পাখিরা বিভিন্ন কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। যেমন:
- বন ধ্বংসের কারণে তাদের বাসস্থান হারাচ্ছে।
- অবৈধ শিকার পাখিদের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে।
- পরিবেশ দূষণ তাদের বেঁচে থাকার জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে।
পাখি সংরক্ষণে উদ্যোগ
বাংলাদেশে পাখি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা এ বিষয়ে কাজ করছে। আপনারও উচিত হবে আপনার অবস্থান থেকে পাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা। সরকার কর্তৃক যে সকল উদ্যোগ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো হলো:
- বনের সংরক্ষণ।
- অবৈধ শিকার বন্ধে আইন প্রয়োগ।
- জনসচেতনতা বৃদ্ধি।
উপসংহার
পাখি আমাদের প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাখিদের রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পাখিদের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের পাখিদের সংরক্ষণে আমাদের আরও সচেতন হওয়া দরকার।
- Education
- Health
- Lifestyle
- Job
- Visa
- Govt Info
- Career
- Tech
- Admission
- Paragraph
- currency rate
- Class 5
- Class 6
- Class 7
- Class 8
- Class 9
- Class 10
- Class 11-12
- General knowledge
- English Speaking
- composition
- Art
- Causes
- Crafts
- Film
- Fitness
- Food
- Games
- Gardening
- Health
- Home
- Literature
- Music
- Networking
- Other
- Party
- Religion
- Shopping
- Sports
- Theater
- Wellness