পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা class 3
তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছোট বাচ্চাদের বার্ষিক পরীক্ষায় কখনো কখনো "পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য" রচনা লিখতে বলা হয়ে থাকে। যেহেতু তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অনেক ছোট তাই পিতা মাতাদেরকে নিম্ন বর্ণিত রচনাটি ভালোভাবে অধ্যায়ন করে সহজ ভাষায় শিশুদেরকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাহলে শিশুরা খুব সহজেই নিজের মতো করে পিতা মাতার সম্পর্কে রচনা লিখতে পারবে।
ভূমিকা
আমরা সকলেই জানি, পিতা-মাতা আমাদের প্রথম শিক্ষক এবং জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তারা আমাদের জীবন জন্য অনেক কিছু সেক্রিফাইস করে এবং আমাদের ভালো থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে প্রস্তুত থাকে।
একজন সন্তানের কর্তব্য হলো পিতা-মাতাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদান করা এবং তাদের হক যথাযথভাবে পালন করা। “পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য” বলতে শুধু তাদের শারীরিক যত্নই নয়, বরং তাদের তাদের সাথে ভালো আচরণ করা এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়াও সন্তানের প্রতি কর্তব্য।
পিতা মাতার প্রতি আমাদের কর্তব্য
পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য হলো তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং তাদের প্রয়োজনগুলো যথাসাধ্য পূরণ করতে হবে। পিতা মাতার প্রতি কর্তব্যের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনেও নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআনের ভাষা অনুযায়ী, পিতা-মাতা হয় এই ধরনের কোন কথা বলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবং তারা ছোটকালে সন্তানদেরকে যেভাবে লালন পালন করতে ঠিক সেভাবেই তাদেরকে লালন-পালন করার কথা বলা হয়েছে।
পিতা মাতার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর উপায়
পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান প্রদান একটি সন্তানের প্রধান কর্তব্য। ছোটবেলায় তারা আমাদের খাবার দেন, ঘর-গৃহস্থালীর কাজ করেন, আমাদের দেখাশোনা করেন এবং আমাদের জীবনের সকল প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট ও থাকেন। তাদের সব ত্যাগ ও ভালোবাসার জন্য আমাদের শ্রদ্ধা এবং সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
তাদের প্রতি সম্মান জানানোর অন্যতম একটি উপায় হল যে কোন কাজে তাদের মতামত গ্রহণ করা এবং তাদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া। এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে পিতা মাতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা যেতে পারে।
পিতা মাতার জন্য সাহায্য ও যত্ন
একজন সন্তানের জীবনের পরবর্তী সময়ে, বিশেষত যখন পিতা-মাতা বৃদ্ধ হতে শুরু করেন, তখন সন্তানের উচিত তাদের যত্ন নেওয়া এবং সাহায্য করা। তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের নজর রাখতে হবে। যখন যা প্রয়োজন হয় তা সাধ্যমত অফ পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি তাদেরকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে হবে। তাদের রোগ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
পিতা মাতার ভালোবাসা প্রদর্শন
পিতা-মাতার ভালোবাসা এবং আদর্শ আমাদের জীবনে এক অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলে। তাদের শিক্ষায় এবং আদর্শে প্রভাবিত হয়ে আমরা যদি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করি, তাহলে জীবন সহজ ও সুন্দর হয়ে উঠবে। তাদের দেখানো পথেই আমাদের চলা উচিত।
কেননা কখনোই কোন পিতা মাতা সন্তানের অমঙ্গল চায়না তাই তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তারা সবসময় বাস্তব ভিত্তিক কথা বলে থাকে তাই তা যদি আপনার কাছে পছন্দনীয় মনে হয় এরপরেও তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করা উচিত। তাদের প্রত্যেকটি নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করতে হবে যদি না তা ধর্মের বিপরীত কিংবা নৈতিকতার বিপরীত হয়।
পিতা-মাতার অবদান
পিতা-মাতার প্রতি আমাদের দায়িত্ব শুধু শারীরিক যত্নই নয়, তাদের আবেগ এবং মনোবলকে শক্তিশালী করা। তারা যতই বৃদ্ধ হোক না কেন, তাদের প্রতি আমাদের ভালবাসা ও সম্মান কখনই কমানো যাবে না বরং তারা যত বৃদ্ধা হবে তত বেশি তাদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। কেননা বৃদ্ধ বয়সে তাদের সেবা-শশ্রূষা বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে।
উপসংহার
পিতা-মাতার প্রতি আমাদের কর্তব্য কখনোই শেষ হয় না। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা, যত্ন, সাহায্য এবং কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন আমাদের জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কাজ। একজন সন্তানের জীবনে পিতা-মাতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় শিক্ষক এবং তারা আমাদের জীবন গঠনের মূল কারিগর।
- Education
- Health
- Lifestyle
- Job
- Visa
- Govt Info
- Career
- Tech
- Art
- Causes
- Crafts
- Dance
- Drinks
- Film
- Fitness
- Food
- Games
- Gardening
- Health
- Home
- Literature
- Music
- Networking
- Other
- Party
- Religion
- Shopping
- Sports
- Theater
- Wellness