Dhaka ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিবাহকত্ব কাকে বলে | পরিবাহকত্ব এর সূত্র, একক ও মাত্রা

এসবি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / 27

পরিবাহকত্ব কাকে বলে, পরিবাহকত্ব এর সূত্র, একক, মাত্রা এবং প্রতীক সহ বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এছাড়াও পরিবাহকত্ব সিগমা এর একক ও পরিবাহিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হয়েছে।

পরিবাহকত্ব কাকে বলে

পরিবাহকত্ব (Conductivity) হল একটি পদার্থের সেই বৈশিষ্ট্য যা তার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা নির্দেশ করে। এটি মূলত একটি পদার্থে ইলেকট্রনের চলাচলের সক্ষমতা বোঝায়। কোনো পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহকত্ব যত বেশি হবে, তত সহজে ইলেকট্রন তার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হবে।

উদাহরণ: তামা (Copper) একটি উচ্চ পরিবাহকত্বসম্পন্ন ধাতু। এটি সহজেই তড়িৎ প্রবাহিত হতে দেয়, তাই তারের জন্য ব্যবহৃত হয়।

পরিবাহকত্ব এর একক

SI এককে, পরিবাহকত্বের একক হল সিমেন্স প্রতি মিটার (Siemens per meter) বা S/m

উদাহরণ: তামার পরিবাহকত্ব প্রায় 5.8 × 10⁷ S/m।

পরিবাহকত্ব এর সূত্র

পরিবাহকত্ব, σ (সিগমা) কে সংজ্ঞায়িত করা হয় এই সূত্র দিয়ে:

σ = 1/ρ

এখানে, σ হল পরিবাহকত্ব, এবং ρ হল রোধ বা Resistivity। অর্থাৎ রোধ যত বেশি, পরিবাহকত্ব তত কম এবং রোধ যত কম, পরিবাহকত্ব তত বেশি।

উদাহরণ: যদি কোনো পদার্থের রোধ 2 Ω·m হয়, তবে তার পরিবাহকত্ব হবে: σ = 1/2 = 0.5 S/m।

পরিবাহকত্ব সিগমা এর একক

পরিবাহকত্বের প্রতীক σ (সিগমা), এবং এর SI একক হল সিমেন্স প্রতি মিটার (S/m)। এটি একইভাবে বলা যায় Mho/meter (Ω⁻¹·m⁻¹)।

উদাহরণ: কোনো পদার্থের সিগমা যদি 0.2 S/m হয়, তবে তার পরিবাহকত্ব মানে সে কিছুটা ইলেকট্রিক প্রবাহ হতে দিতে সক্ষম।

পরিবাহকত্ব এর মাত্রা

পরিবাহকত্ব এর মাত্রা হল: [M⁻¹L⁻³T³A²] যেখানে M=ভর, L=দৈর্ঘ্য, T=সময়, A=তড়িৎ প্রবাহ। এটি মূলত রোধের বিপরীত রাশি হওয়ায় রোধের মাত্রার বিপরীতই এর মাত্রা হয়।

উদাহরণ: একটি পরিবাহী পদার্থে, যদি রোধের মাত্রা হয় [ML³T⁻³A⁻²], তবে পরিবাহকত্ব হবে তার বিপরীত।

পরিবাহকত্ব এর প্রতীক

পরিবাহকত্বের প্রতীক হচ্ছে গ্রিক অক্ষর σ (সিগমা)। এটি পদার্থের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতার মান নির্দেশ করে।

উদাহরণ: σ = 3.5 S/m বোঝায় পদার্থটি মাঝারি পরিবাহী।

পরিবাহিতা ও পরিবাহকত্ব

পরিবাহিতা (Conductance) ও পরিবাহকত্ব (Conductivity) পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হলেও ভিন্ন ভিন্ন ধারণা। পরিবাহিতা G = 1/R (রোধের বিপরীত) এবং একক হলো Siemens (S)। এটি কোন নির্দিষ্ট আকৃতির কোনো কন্ডাক্টরের জন্য প্রযোজ্য। অন্যদিকে, পরিবাহকত্ব σ হলো পদার্থের নিজস্ব ধর্ম। এটি নির্দিষ্ট আয়তনের উপর নির্ভরশীল নয়।

উদাহরণ: একটি তামার তারের পরিবাহিতা নির্ভর করে তার দৈর্ঘ্য ও ব্যাসার্ধের উপর, কিন্তু পরিবাহকত্ব তামার নিজস্ব গুণ।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর সমূহ

Q1: পরিবাহকত্বের একক কোনটি?
উত্তর: পরিবাহকত্বের SI একক হলো সিমেন্স প্রতি মিটার (S/m)।

Q2: পরিবাহকত্ব কি?
উত্তর: পরিবাহকত্ব একটি পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা বোঝায়।

Q3: পরিবাহকত্ব কী?
উত্তর: পরিবাহকত্ব হলো রোধের বিপরীত রাশি, যা ইলেকট্রিক প্রবাহের সহায়তাকারী।

Q4: পরিবাহকত্বের একক?
উত্তর: পরিবাহকত্বের একক হলো Siemens per meter বা S/m।

Q5: আপেক্ষিক রোধ ও পরিবাহকত্ব বিপরীত রাশি কেন?
উত্তর: কারণ, আপেক্ষিক রোধ (ρ) যত বেশি হবে, তত বেশি তড়িৎ বাধা দিবে, ফলে পরিবাহকত্ব (σ = 1/ρ) কমে যাবে। এরা পরস্পরের বিপরীত।

Q6: পরিবাহকত্বের একক কি?
উত্তর: পরিবাহকত্বের একক হচ্ছে সিমেন্স প্রতি মিটার (S/m)।

Q7: পরিবাহকত্ব এর প্রতীক কি?
উত্তর: পরিবাহকত্বের প্রতীক হল σ (সিগমা)।

Q8: পরিবাহকত্ব একক?
উত্তর: একক হল S/m অর্থাৎ Siemens প্রতি মিটার।

Q9: তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে পরিবাহী পদার্থের পরিবাহকত্ব কমে যায় কেন?
উত্তর: তাপমাত্রা বাড়লে ইলেকট্রনের গতি বৃদ্ধি পায়, ফলে সংঘর্ষ বেড়ে যায় এবং পরিবাহকত্ব কমে যায়।

Q10: কোনটির পরিবাহকত্ব বেশি?
উত্তর: সাধারণভাবে ধাতব পদার্থগুলির পরিবাহকত্ব বেশি, যেমন তামা ও রূপা।

Q11: নিচের কোনটির পরিবাহকত্ব বেশি?
উত্তর: যদি তালিকা থাকে, তবে সাধারণভাবে রূপার পরিবাহকত্ব সর্বোচ্চ।

Q12: পরিবাহকত্ব এর সংকেত?
উত্তর: পরিবাহকত্বের সংকেত হল σ (সিগমা)।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টটি শেয়ার করুন

রিপোর্টারের প্রফাইল

পরিবাহকত্ব কাকে বলে | পরিবাহকত্ব এর সূত্র, একক ও মাত্রা

প্রকাশিত : ১১:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

পরিবাহকত্ব কাকে বলে, পরিবাহকত্ব এর সূত্র, একক, মাত্রা এবং প্রতীক সহ বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এছাড়াও পরিবাহকত্ব সিগমা এর একক ও পরিবাহিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হয়েছে।

পরিবাহকত্ব কাকে বলে

পরিবাহকত্ব (Conductivity) হল একটি পদার্থের সেই বৈশিষ্ট্য যা তার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা নির্দেশ করে। এটি মূলত একটি পদার্থে ইলেকট্রনের চলাচলের সক্ষমতা বোঝায়। কোনো পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহকত্ব যত বেশি হবে, তত সহজে ইলেকট্রন তার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হবে।

উদাহরণ: তামা (Copper) একটি উচ্চ পরিবাহকত্বসম্পন্ন ধাতু। এটি সহজেই তড়িৎ প্রবাহিত হতে দেয়, তাই তারের জন্য ব্যবহৃত হয়।

পরিবাহকত্ব এর একক

SI এককে, পরিবাহকত্বের একক হল সিমেন্স প্রতি মিটার (Siemens per meter) বা S/m

উদাহরণ: তামার পরিবাহকত্ব প্রায় 5.8 × 10⁷ S/m।

পরিবাহকত্ব এর সূত্র

পরিবাহকত্ব, σ (সিগমা) কে সংজ্ঞায়িত করা হয় এই সূত্র দিয়ে:

σ = 1/ρ

এখানে, σ হল পরিবাহকত্ব, এবং ρ হল রোধ বা Resistivity। অর্থাৎ রোধ যত বেশি, পরিবাহকত্ব তত কম এবং রোধ যত কম, পরিবাহকত্ব তত বেশি।

উদাহরণ: যদি কোনো পদার্থের রোধ 2 Ω·m হয়, তবে তার পরিবাহকত্ব হবে: σ = 1/2 = 0.5 S/m।

পরিবাহকত্ব সিগমা এর একক

পরিবাহকত্বের প্রতীক σ (সিগমা), এবং এর SI একক হল সিমেন্স প্রতি মিটার (S/m)। এটি একইভাবে বলা যায় Mho/meter (Ω⁻¹·m⁻¹)।

উদাহরণ: কোনো পদার্থের সিগমা যদি 0.2 S/m হয়, তবে তার পরিবাহকত্ব মানে সে কিছুটা ইলেকট্রিক প্রবাহ হতে দিতে সক্ষম।

পরিবাহকত্ব এর মাত্রা

পরিবাহকত্ব এর মাত্রা হল: [M⁻¹L⁻³T³A²] যেখানে M=ভর, L=দৈর্ঘ্য, T=সময়, A=তড়িৎ প্রবাহ। এটি মূলত রোধের বিপরীত রাশি হওয়ায় রোধের মাত্রার বিপরীতই এর মাত্রা হয়।

উদাহরণ: একটি পরিবাহী পদার্থে, যদি রোধের মাত্রা হয় [ML³T⁻³A⁻²], তবে পরিবাহকত্ব হবে তার বিপরীত।

পরিবাহকত্ব এর প্রতীক

পরিবাহকত্বের প্রতীক হচ্ছে গ্রিক অক্ষর σ (সিগমা)। এটি পদার্থের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতার মান নির্দেশ করে।

উদাহরণ: σ = 3.5 S/m বোঝায় পদার্থটি মাঝারি পরিবাহী।

পরিবাহিতা ও পরিবাহকত্ব

পরিবাহিতা (Conductance) ও পরিবাহকত্ব (Conductivity) পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হলেও ভিন্ন ভিন্ন ধারণা। পরিবাহিতা G = 1/R (রোধের বিপরীত) এবং একক হলো Siemens (S)। এটি কোন নির্দিষ্ট আকৃতির কোনো কন্ডাক্টরের জন্য প্রযোজ্য। অন্যদিকে, পরিবাহকত্ব σ হলো পদার্থের নিজস্ব ধর্ম। এটি নির্দিষ্ট আয়তনের উপর নির্ভরশীল নয়।

উদাহরণ: একটি তামার তারের পরিবাহিতা নির্ভর করে তার দৈর্ঘ্য ও ব্যাসার্ধের উপর, কিন্তু পরিবাহকত্ব তামার নিজস্ব গুণ।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর সমূহ

Q1: পরিবাহকত্বের একক কোনটি?
উত্তর: পরিবাহকত্বের SI একক হলো সিমেন্স প্রতি মিটার (S/m)।

Q2: পরিবাহকত্ব কি?
উত্তর: পরিবাহকত্ব একটি পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা বোঝায়।

Q3: পরিবাহকত্ব কী?
উত্তর: পরিবাহকত্ব হলো রোধের বিপরীত রাশি, যা ইলেকট্রিক প্রবাহের সহায়তাকারী।

Q4: পরিবাহকত্বের একক?
উত্তর: পরিবাহকত্বের একক হলো Siemens per meter বা S/m।

Q5: আপেক্ষিক রোধ ও পরিবাহকত্ব বিপরীত রাশি কেন?
উত্তর: কারণ, আপেক্ষিক রোধ (ρ) যত বেশি হবে, তত বেশি তড়িৎ বাধা দিবে, ফলে পরিবাহকত্ব (σ = 1/ρ) কমে যাবে। এরা পরস্পরের বিপরীত।

Q6: পরিবাহকত্বের একক কি?
উত্তর: পরিবাহকত্বের একক হচ্ছে সিমেন্স প্রতি মিটার (S/m)।

Q7: পরিবাহকত্ব এর প্রতীক কি?
উত্তর: পরিবাহকত্বের প্রতীক হল σ (সিগমা)।

Q8: পরিবাহকত্ব একক?
উত্তর: একক হল S/m অর্থাৎ Siemens প্রতি মিটার।

Q9: তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে পরিবাহী পদার্থের পরিবাহকত্ব কমে যায় কেন?
উত্তর: তাপমাত্রা বাড়লে ইলেকট্রনের গতি বৃদ্ধি পায়, ফলে সংঘর্ষ বেড়ে যায় এবং পরিবাহকত্ব কমে যায়।

Q10: কোনটির পরিবাহকত্ব বেশি?
উত্তর: সাধারণভাবে ধাতব পদার্থগুলির পরিবাহকত্ব বেশি, যেমন তামা ও রূপা।

Q11: নিচের কোনটির পরিবাহকত্ব বেশি?
উত্তর: যদি তালিকা থাকে, তবে সাধারণভাবে রূপার পরিবাহকত্ব সর্বোচ্চ।

Q12: পরিবাহকত্ব এর সংকেত?
উত্তর: পরিবাহকত্বের সংকেত হল σ (সিগমা)।