রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে | রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা কী সেই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল (Aristotle)-কে গণ্য করা হয়। তিনি “পলিটিকস” (Politics) নামক গ্রন্থে রাষ্ট্র ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তার মতে, “মানুষ প্রকৃতিগতভাবে একটি রাজনৈতিক প্রাণী।” এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সমাজবদ্ধ জীবনযাপন করতে চায় এবং একটি সংগঠিত শাসনব্যবস্থা প্রয়োজন।

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি (Niccolò Machiavelli)-কে বিবেচনা করা হয়। তার রচিত “দ্য প্রিন্স” (The Prince) গ্রন্থে তিনি বাস্তববাদী রাজনীতির ধারণা উপস্থাপন করেন, যেখানে ক্ষমতা অর্জন, রক্ষা এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা রয়েছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল রাষ্ট্র ও সরকারের গঠন, কার্যক্রম, নীতি এবং শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে অধ্যয়ন। এটি সামাজিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা যা ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, আইনের প্রয়োগ, নাগরিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা:

“রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সেই শাস্ত্র যেখানে রাষ্ট্র, সরকার, শাসনব্যবস্থা, আইন এবং নীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।”

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল এমন একটি বিদ্যা যা রাষ্ট্রের সৃষ্টি, প্রকৃতি, কার্যকারিতা ও বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে। এটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন কার্যাবলী, প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং নীতি বিশ্লেষণ করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বলা হয় “Power, Governance & Policy” বা “ক্ষমতা, শাসন ও নীতি” সম্পর্কিত অধ্যয়ন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল এমন একটি বিষয় যেখানে সরকার, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, আইন, নাগরিক অধিকার, নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে গবেষণা করা হয়। এটি ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং আইনবিষয়ক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও

রাষ্ট্রের সংজ্ঞা:

রাষ্ট্র হলো একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী, যা একটি সংগঠিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। রাষ্ট্রের চারটি প্রধান উপাদান রয়েছে:

উপাদানবিবরণ
১. জনসংখ্যানির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ
২. ভূখণ্ডএকটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানা
৩. সরকারপরিচালনাকারী সংগঠন
৪. সার্বভৌমত্বস্বতন্ত্রভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা:

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল রাষ্ট্র, সরকার, সংবিধান এবং রাজনীতির নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা একটি বিদ্যা। এটি রাষ্ট্রের কার্যাবলী, রাজনৈতিক তত্ত্ব এবং ক্ষমতার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গবেষণা করে।

প্রাচীন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে

প্রাচীন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে প্লেটো (Plato)-কে গণ্য করা হয়। তার লেখা “রিপাবলিক” (Republic) গ্রন্থে তিনি আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা উপস্থাপন করেছেন, যেখানে ন্যায়, নৈতিকতা এবং আদর্শ শাসক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

এরিস্টটলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা

গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে বলেছেন:

“রাষ্ট্র একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সংগঠন, যেখানে নাগরিকরা একটি নৈতিক জীবন যাপন করতে পারে।”

এরিস্টটলের মতে, রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং নাগরিকদের জন্য একটি সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের ব্যবস্থা করা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান আধুনিক সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
  • এটি রাজনৈতিক কাঠামো, নির্বাচন, নীতি-নির্ধারণ, কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করে।
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ার মাধ্যমে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।

FAQ (প্রশ্নোত্তর)

Q1: রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?

উত্তর: রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল

Q2: আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?

উত্তর: আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি

Q3: রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরুত্ব কী?

উত্তর: রাষ্ট্রবিজ্ঞান নাগরিকদের রাজনৈতিক জ্ঞান বৃদ্ধি করে, সরকারের কার্যক্রম বোঝার সুযোগ দেয় এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।

Q5: রাষ্ট্রের মৌলিক উপাদান কী কী?

উত্তর: রাষ্ট্রের চারটি মৌলিক উপাদান হলো জনসংখ্যা, ভূখণ্ড, সরকার এবং সার্বভৌমত্ব


Leave a Comment