Dhaka ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশুর ঘামাচি হলে করণীয় কাজ সমূহ

এসবি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৯:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 21

বর্তমান সময়ে শিশুদের কমন একটি সমস্যা হচ্ছে ঘামাচির সমস্যা। প্রচন্ড গরমের কারণে এই সমস্যা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। শিশুর ঘামাচি হলে করণীয় কি? বা বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

উপস্থাপনা

গরমকালের শিশুদের একটি সমস্যা হলো ঘামাচি। ঘামাচি হলে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, শিশুরা কাপড় গায়ে রাখতে চায় না বা সবসময় ছটফট করে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনার উচিত হবে শিশুর ঘামাচি হলে তা সারিয়ে তোলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শিশুর ঘামাচি হলে করণীয় কি? বা বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

শিশুর ঘামাচি হলে করণীয়, মুখে ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় এবং ঘামাচি হলে করণীয় কি? সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।শিশুদের ক্ষমা চেয়ে সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরুন।

শিশুর ঘামাচি কেন হয়?

বিভিন্ন কারণে ঘামাচি হাতে পারে বিশেষ করে বাচ্চারা যেহেতু কোনো নিয়ম-কানুন এর মধ্য দিয়ে চলে না এবং তারা যেহেতু সবসময় ছোটাছুটি করতে পছন্দ করে, তাই তাদের ঘামাচি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বড়দের চেয়ে বেশি।

ঘামগ্রন্থির নালি বন্ধ হওয়ার কারণে: কোন কারণে যদি আপনার সন্তানের  ঘামগ্রন্থির নালিগুলো বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ঘামাচি হতে পারে। তাই আপনার উচিত হবে আপনার সন্তানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা, যাতে কোনোভাবেই ঘামগ্রন্থির নালীগুলো বন্ধ হয়ে না যায় এবং ভিতর থেকে ঘাম অনায়াসেই বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।

টাইট পোশাক পরিধান করার কারণে: টাইট পোশাক পরিধান করা ঘামাচি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। তাই আপনি যদি আপনার সন্তানকে ঘামাচি মুক্ত রাখতে চান তাহলে কখনোই সন্তানকে টাইপরাইটিং পোশাক পড়াবেন না সবসময় ঢিলেঢালা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখবেন।

তাপ বা গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় থাকলে: অনেক সময় দেখা যায় যে শিশুরা রোদ্রে খেলাধুলা করে বা দীর্ঘ সময় ধরে গরম কোন জায়গায় খেলাধুলা করে। এরকম গরম জায়গায় দীর্ঘ সময় থাকলে শিশুদের ঘামাচি হতে পারে, তাই সেই শিশুকে কখনোই গরম জায়গায় খেলাধুলা করতে দেবেন না।

নিয়মিত গোসল না করলে: আপনি যদি আপনার সন্তানকে নিয়মিত গোসল না করান তাহলে কিন্তু তার ঘামাচি হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনি আপনার সন্তানকে নিয়মিত গোসল করাবেন যাতে করে সব সময় শরীর পরিষ্কার থাকে।

অতিরিক্ত জ্বর হলে: অনেক সময় অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্ষমা চাইতে পারে। তাই জ্বর আসলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করাতে হবে কেননা দীর্ঘায়িত জ্বরের কারণে ঘামাচির সমস্যা হয়ে থাকে।

শিশুর ঘামাচি হলে করণীয়

ঘরোয়া পদ্ধতিতেই খুব সহজে আপনি আপনার সন্তানের ঘামাচির সমস্যা দূর করতে পারবেন। তাই আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার সন্তানের সমস্যা দূর করতে চান সেক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করুন।

বরফ: ঘামাচি হলে বরফ হতে পারে ঘামাচি দূর করার অন্যতম একটি উপকরণ। আপনার সন্তানের যদি ঘামাচি হয় তাহলে আক্রান্ত স্থানে আইসবাগ বা বরফ দিয়ে ১০ মিনিট ধরে সেঁক দেবেন। এভাবে নিয়মিত কিছুদিন সেঁক দিলে আশা করা যায় ঘামাচির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

শিশুর ঘামাচি হলে করণীয়, মুখে ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় এবং ঘামাচি হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

মুলতানি মাটি: অনেকেই চুল ও ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার করে থাকেন। মুলতানি মাটি খুবই কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা কিনা ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় যুগ যুগ থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক গুণে ভরপুর মুলতানি মাটি যদি আপনার সন্তানকে নিয়মিত ব্যবহার করাতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে ঘামাচি সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হয়ে গেছে।

সুতরাং শিশুর ঘামাচি দূর করার জন্য মুলতানি মাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর একটি উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। মুলতানি মাটির ব্যবহার করলে ঘামাচি দূর হওয়ার পাশাপাশি আপনার শিশুর ত্বক কমল ও উজ্জ্বল হবে।

মুলতানি মাটির ব্যবহার করার নিয়ম হলো গোলাপজলের সহিত মুলতানি মাটি মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করবেন এবং তা শরীরে মাখিয়ে দেবেন। এরপর এ ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর পেস্ট যখন শুকিয়ে আসবে তখন পরিষ্কার ও ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।

নিমপাতা: নিমপাতা কে বলা হয় প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ। কেননা নিম পাতা বিভিন্ন ধরনের ভেষজ গুণসম্পন্ন একটি উপাদান। আপনি যদি নিয়মিত আপনার সন্তানকে গোলাপ জলের সহিত নিমপাতা মিশ্রিত করে সারা শরীরে ব্যবহার করান, তাহলে দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সন্তান ঘামাচি মুক্ত হয়ে যাবে। শিশুর ঘামাচি দূর করার ক্ষেত্রে নিমপাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরএকটি ভেষজ উপাদান।

ঘৃতকুমারী: অনেকেই ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার করে থাকেন। প্রাকৃতিক ভেষজ গুণসম্পন্ন এই উপাদানটি আপনার সন্তানের ঘামাচি দূর করতে সহায়তা করতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত ঘৃতকুমারীর পাতার পেস্ট হলুদের সাথে মিশ্রিত করে আপনার সন্তানকে ব্যবহার করেন তাহলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার সন্তানের ঘামাচি দূর হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।

বেকিং সোডা: আপনার ঘরে থাকা বেকিং সোডা হতে পারে আপনার সন্তানের ঘামাচি দূর করার অন্যতম একটি উপাদান। ঠান্ডা পানিতে হালকা বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি কাপড়ের টুকরো বেকিং সোডা যুক্ত পানিতে ভিজিয়ে সে কাপড় আপনার সন্তানের ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিন।

১০ – ১৫ মিনিট পর এসে কাপড় সরিয়ে ফেলুন এবং আপনার সন্তানকে ভালোভাবে গোসল করিয়ে দিন এভাবে কিছুদিন বেকিং সোডা ব্যবহার করলে আপনার সন্তানের ঘামাচি অবশ্যই দূরীভূত হবে বলে আশা করা যায়।

বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয়

বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয় বা ঘামাচি হলে করণীয় কি সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।আপনার সন্তানের মাথায় যদি ঘামাচি হয় সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে তা হলোঃ ভালো ব্র্যান্ডের শিশুদের শ্যাম্পু ব্যবহার করাতে হবে।

অনেক সময় ভাল মানের শ্যাম্পু ব্যবহার না করার কারণে মাথায় ময়লা জমে ঘামাচির সৃষ্টি হয়। তাই আপনি যদি ভালো ব্রান্ডের উন্নত মানের শ্যাম্পু দিয়ে নিয়মিত আপনার সন্তানের মত পরিস্কার করে দেন তাহলে আপনার সন্তানের মাথার ঘামাচি দূরীভূত হয়ে যাবে এবং নতুন করে ঘামাচি আর উঠবে না।

মুখে ঘামাচি হলে করণীয়

মুখে ঘামাচি হলে করণীয় কি? তা নিচে তুলে ধরা হবে। আপনার সন্তানের মুখে যদি ঘামাচি হয় সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে তেমন কিছু করতে হবে না। শরীরে ঘামাচি উঠলে আপনি যা যা করবেন অর্থাৎ উপরে যে সকল ইনস্ট্রাকশন দেয়া হয়েছে সেই অনুপাতে মুখের যত্ন নিলে মুখে ঘামাচি ও শরীরে ঘামাচির মত সেরে উঠবে।

উপসংহার

উপরে শিশুর ঘামাচি হলে করণীয়, মুখে ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় এবং ঘামাচি হলে করণীয় কি? সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি উপরে উল্লেখিত নির্দেশনাগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার সন্তান ঘামাচি মুক্ত হয়ে যাবে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টটি শেয়ার করুন

রিপোর্টারের প্রফাইল

শিশুর ঘামাচি হলে করণীয় কাজ সমূহ

প্রকাশিত : ০৯:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

বর্তমান সময়ে শিশুদের কমন একটি সমস্যা হচ্ছে ঘামাচির সমস্যা। প্রচন্ড গরমের কারণে এই সমস্যা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। শিশুর ঘামাচি হলে করণীয় কি? বা বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

উপস্থাপনা

গরমকালের শিশুদের একটি সমস্যা হলো ঘামাচি। ঘামাচি হলে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, শিশুরা কাপড় গায়ে রাখতে চায় না বা সবসময় ছটফট করে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনার উচিত হবে শিশুর ঘামাচি হলে তা সারিয়ে তোলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শিশুর ঘামাচি হলে করণীয় কি? বা বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

শিশুর ঘামাচি হলে করণীয়, মুখে ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় এবং ঘামাচি হলে করণীয় কি? সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।শিশুদের ক্ষমা চেয়ে সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরুন।

শিশুর ঘামাচি কেন হয়?

বিভিন্ন কারণে ঘামাচি হাতে পারে বিশেষ করে বাচ্চারা যেহেতু কোনো নিয়ম-কানুন এর মধ্য দিয়ে চলে না এবং তারা যেহেতু সবসময় ছোটাছুটি করতে পছন্দ করে, তাই তাদের ঘামাচি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বড়দের চেয়ে বেশি।

ঘামগ্রন্থির নালি বন্ধ হওয়ার কারণে: কোন কারণে যদি আপনার সন্তানের  ঘামগ্রন্থির নালিগুলো বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ঘামাচি হতে পারে। তাই আপনার উচিত হবে আপনার সন্তানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা, যাতে কোনোভাবেই ঘামগ্রন্থির নালীগুলো বন্ধ হয়ে না যায় এবং ভিতর থেকে ঘাম অনায়াসেই বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।

টাইট পোশাক পরিধান করার কারণে: টাইট পোশাক পরিধান করা ঘামাচি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। তাই আপনি যদি আপনার সন্তানকে ঘামাচি মুক্ত রাখতে চান তাহলে কখনোই সন্তানকে টাইপরাইটিং পোশাক পড়াবেন না সবসময় ঢিলেঢালা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখবেন।

তাপ বা গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় থাকলে: অনেক সময় দেখা যায় যে শিশুরা রোদ্রে খেলাধুলা করে বা দীর্ঘ সময় ধরে গরম কোন জায়গায় খেলাধুলা করে। এরকম গরম জায়গায় দীর্ঘ সময় থাকলে শিশুদের ঘামাচি হতে পারে, তাই সেই শিশুকে কখনোই গরম জায়গায় খেলাধুলা করতে দেবেন না।

নিয়মিত গোসল না করলে: আপনি যদি আপনার সন্তানকে নিয়মিত গোসল না করান তাহলে কিন্তু তার ঘামাচি হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনি আপনার সন্তানকে নিয়মিত গোসল করাবেন যাতে করে সব সময় শরীর পরিষ্কার থাকে।

অতিরিক্ত জ্বর হলে: অনেক সময় অতিরিক্ত ওজনের কারণে ক্ষমা চাইতে পারে। তাই জ্বর আসলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করাতে হবে কেননা দীর্ঘায়িত জ্বরের কারণে ঘামাচির সমস্যা হয়ে থাকে।

শিশুর ঘামাচি হলে করণীয়

ঘরোয়া পদ্ধতিতেই খুব সহজে আপনি আপনার সন্তানের ঘামাচির সমস্যা দূর করতে পারবেন। তাই আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার সন্তানের সমস্যা দূর করতে চান সেক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করুন।

বরফ: ঘামাচি হলে বরফ হতে পারে ঘামাচি দূর করার অন্যতম একটি উপকরণ। আপনার সন্তানের যদি ঘামাচি হয় তাহলে আক্রান্ত স্থানে আইসবাগ বা বরফ দিয়ে ১০ মিনিট ধরে সেঁক দেবেন। এভাবে নিয়মিত কিছুদিন সেঁক দিলে আশা করা যায় ঘামাচির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

শিশুর ঘামাচি হলে করণীয়, মুখে ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় এবং ঘামাচি হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

মুলতানি মাটি: অনেকেই চুল ও ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার করে থাকেন। মুলতানি মাটি খুবই কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা কিনা ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় যুগ যুগ থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক গুণে ভরপুর মুলতানি মাটি যদি আপনার সন্তানকে নিয়মিত ব্যবহার করাতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে ঘামাচি সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হয়ে গেছে।

সুতরাং শিশুর ঘামাচি দূর করার জন্য মুলতানি মাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর একটি উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। মুলতানি মাটির ব্যবহার করলে ঘামাচি দূর হওয়ার পাশাপাশি আপনার শিশুর ত্বক কমল ও উজ্জ্বল হবে।

মুলতানি মাটির ব্যবহার করার নিয়ম হলো গোলাপজলের সহিত মুলতানি মাটি মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করবেন এবং তা শরীরে মাখিয়ে দেবেন। এরপর এ ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর পেস্ট যখন শুকিয়ে আসবে তখন পরিষ্কার ও ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।

নিমপাতা: নিমপাতা কে বলা হয় প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ। কেননা নিম পাতা বিভিন্ন ধরনের ভেষজ গুণসম্পন্ন একটি উপাদান। আপনি যদি নিয়মিত আপনার সন্তানকে গোলাপ জলের সহিত নিমপাতা মিশ্রিত করে সারা শরীরে ব্যবহার করান, তাহলে দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সন্তান ঘামাচি মুক্ত হয়ে যাবে। শিশুর ঘামাচি দূর করার ক্ষেত্রে নিমপাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরএকটি ভেষজ উপাদান।

ঘৃতকুমারী: অনেকেই ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার করে থাকেন। প্রাকৃতিক ভেষজ গুণসম্পন্ন এই উপাদানটি আপনার সন্তানের ঘামাচি দূর করতে সহায়তা করতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত ঘৃতকুমারীর পাতার পেস্ট হলুদের সাথে মিশ্রিত করে আপনার সন্তানকে ব্যবহার করেন তাহলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার সন্তানের ঘামাচি দূর হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।

বেকিং সোডা: আপনার ঘরে থাকা বেকিং সোডা হতে পারে আপনার সন্তানের ঘামাচি দূর করার অন্যতম একটি উপাদান। ঠান্ডা পানিতে হালকা বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি কাপড়ের টুকরো বেকিং সোডা যুক্ত পানিতে ভিজিয়ে সে কাপড় আপনার সন্তানের ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিন।

১০ – ১৫ মিনিট পর এসে কাপড় সরিয়ে ফেলুন এবং আপনার সন্তানকে ভালোভাবে গোসল করিয়ে দিন এভাবে কিছুদিন বেকিং সোডা ব্যবহার করলে আপনার সন্তানের ঘামাচি অবশ্যই দূরীভূত হবে বলে আশা করা যায়।

বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয়

বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয় বা ঘামাচি হলে করণীয় কি সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।আপনার সন্তানের মাথায় যদি ঘামাচি হয় সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে তা হলোঃ ভালো ব্র্যান্ডের শিশুদের শ্যাম্পু ব্যবহার করাতে হবে।

অনেক সময় ভাল মানের শ্যাম্পু ব্যবহার না করার কারণে মাথায় ময়লা জমে ঘামাচির সৃষ্টি হয়। তাই আপনি যদি ভালো ব্রান্ডের উন্নত মানের শ্যাম্পু দিয়ে নিয়মিত আপনার সন্তানের মত পরিস্কার করে দেন তাহলে আপনার সন্তানের মাথার ঘামাচি দূরীভূত হয়ে যাবে এবং নতুন করে ঘামাচি আর উঠবে না।

মুখে ঘামাচি হলে করণীয়

মুখে ঘামাচি হলে করণীয় কি? তা নিচে তুলে ধরা হবে। আপনার সন্তানের মুখে যদি ঘামাচি হয় সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে তেমন কিছু করতে হবে না। শরীরে ঘামাচি উঠলে আপনি যা যা করবেন অর্থাৎ উপরে যে সকল ইনস্ট্রাকশন দেয়া হয়েছে সেই অনুপাতে মুখের যত্ন নিলে মুখে ঘামাচি ও শরীরে ঘামাচির মত সেরে উঠবে।

উপসংহার

উপরে শিশুর ঘামাচি হলে করণীয়, মুখে ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের মাথায় ঘামাচি হলে করণীয়, বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় এবং ঘামাচি হলে করণীয় কি? সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি উপরে উল্লেখিত নির্দেশনাগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার সন্তান ঘামাচি মুক্ত হয়ে যাবে।